১৯ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:১৪

ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফে কামারদের কর্মব্যস্ততা

আব্দুস সালাম, টেকনাফ(কক্সবাজার):

ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফে কামারদের কর্মব্যস্ততা

ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফে। এর মধ্যে কামারদের কর্মব্যস্ততায় দিন-রাত কাটাতে হচ্ছে। বিশেষ করে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দা, ছুরি, চাপাতি ও কুড়ালের কদর বেড়ে যায়। বেচাকেনাও হচ্ছে দেদারসে।

সরেজমিনে আজ টেকনাফ পৌরসভার জীপষ্টেশন,বাসষ্টেশন লেঙ্গুরবিল, টিঅ্যান্ডটি ও  লামার বাজারের দোকান ঘুরে দেখা গেল কামারদের কর্মব্যস্ততার চিত্র। দোকানে চলছে ছুরি, বঁটি, দা শাণ দেওয়ার কাজ। পাশাপাশি হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙ্গা লোহার খন্ড। কেউ ভোঁতা হয়ে পড়া দা ও ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউবা কয়লার আগুনে বাতাস করছেন। আবার কোথাও কোথাাও দোকানে সামনে দা-বঁটি, ছুরি, চাপাতি, চামচ, মেলন, কুড়াল ইত্যাদি সাজিয়ে রেখেছেন। এসব দোকানে এখন বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। 

যাদের ঘরে পুরোনো দা, বঁটি, ছুরি আছে তাঁরা সেগুলো শান দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। আর যাদের এগুলো নেই- তারা দোকান থেকে নতুন করে সেসব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ১৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। ছুরি ১৫০ থেকে ৭০০, চাকু প্রতিটি ৫০ থেকে ২৫০, চাপাতি প্রতিটি ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ ও কুড়াল ৩৫০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। শান দিতে ৫০ থেকে ২২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

ক্রেতা টেকনাফ সদরের আব্দুল আমিন বলেন, গরু কেনা শেষে হয়েছে। আগে-ভাগে এখন দা, বটি ও ছুরি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। 
টেকনাফ জীপষ্টেশনের দিলীপ দাশ  ও সঞ্জিত দাশ  জানান, বংশ পরম্পরায় নিপুণভাবে এসব সরঞ্জাম তৈরি করেন। এগুলো খুবই ধারালো ও নিখুঁত। এসব তৈরির জন্য লোহা সংগ্রহ করতে হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে। আর আগুন জ্বালাতে ব্যবহার করতে হচ্ছে কয়লা। সারাবছর বেচাকেনা তেমন হয় না। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারদের কর্মব্যস্ততায় দিন-রাত কাটাতে হচ্ছে। প্রতিদিন ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। বর্তমানে এসব সংগ্রহ করতে বেশি খরচ পড়ায় বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর