শিরোনাম
১৯ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:৫৬

হাতিয়ায় গৃহবধূকে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ

নোযাখালী প্রতিনিধি:

হাতিয়ায় গৃহবধূকে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদার দাবিতে এক গৃহবধূকে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আ. স. ম জাফর ইকবাল (৩৫) চানন্দি ইউনিয়নের চৌধুরী গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং স্থানীয় ফরিদপুর বেসকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন।  শনিবার রাতে ভূমিহীন বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।  

এদিকে আজ রবিবার দুপুরে হাতিয়া মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ও এক কনস্টেবল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঐ নারীর সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে পুলিশের চাপের মুখে অসুস্থ মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

আহত বিবি ছায়রা(২৮) চানন্দি ইউনিয়নের মিয়াজি গ্রামের বাবর হোসেনের(৩৫) স্ত্রী। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছায়রার স্বামী বাবর হোসেন জানান, একই এলাকার মো. মমিন তার ১২ বাড়ির শতাংশ জমি অনেকদিন থেকে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে এনিয়ে জাফর ইকবাল উভয় পক্ষকে ডেকে সালিশ করেন। সালিশে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়, বাবর ওই জমি মমিনকে রেজিস্ট্রি করে করে দিলে জমির মূল্য হিসেবে মমিন তাকে ৭১ হাজার টাকা দিবে। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রির পর মমিন টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকেন। বিষয়টি সালিশদার জাফরকে জানানোর পর তিনি মমিনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজের কাছে জমা রাখেন। 

শুক্রবার রাতে বাবর ও তার স্ত্রী টাকার জন্য ভূমিহীন বাজারে জাফরের কাছে গেলে জাফর তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় জাফর ও তার সহযোগী জিয়া, রহিম, বাকের ও আবদুল আলিম বাবরের স্ত্রীকে একটি ঘরে আটকে রেখে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। 
হাতিয়া মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল জানান, এ ঘটনায় জাফরকে আটক করা হয়েছে। 

হাতিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার জানান, এ ব্যপারে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি। 

ভিক্টিমের স্বামী বাবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জাফর ও তার লোকজন বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর