শিরোনাম
২০ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:২৬

রাঙামাটি হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার, ফের চালু মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটি হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার, ফের চালু মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড

রাঙামাটি হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন সংস্কারের পর আবারও চালু করা হয়েছে মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। সোমবার সকালে তা আবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে এ ওয়ার্ডের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এ সময় রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী ও ডা. এম এ হাই’সহ সিনিয়র চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে চালু হয় রাঙামাটি জেলা সদরে একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি। কিন্তু দীর্ঘ দিন অযত্নে অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে হাসপাতালটি। পরে ২০০৫ সালে রাঙামাটি জেনারেল হাসাপাতালের দ্বিতল ভবনকে ঝুকিঁপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করে রাঙামাটি পৌরসভা। কিন্তু তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলে চিকিৎসা সেবা। এপর ২০১৬ সালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সত্বেও তৃতীয় তলায় অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু আংশিক ভবন নির্মাণের পর হাসপাতাল বিভিন্ন ভিমে (পিলার) ফাটল দেখা দেয়। খশে পড়ে ভবনের প্ল্যাস্টার। সে সময় হাসপাতালটির বিরাট একটি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হয়ে যায় মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হয় পুরুষ ওয়ার্ডে। এতে বৃদ্ধি পায় রোগী ও চিকিৎসকদের ভোগান্তি। দাবি উঠে মহিলা ও শিশুদের নতুন ভবনের । কিন্তু সে বিষয়ে কার্যকর কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ ১৯ মাস পর ঝুকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কার করে পুনরায় চিকিংসা ব্যবস্থা চালু করে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে রোগীদের। এ ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যেও।
এব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী জানান, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালটির মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের ঝুকিপূর্ণ ভবন পর্যবেক্ষণ করতে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছিল। তার বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে আমাদের সিদ্ধান্ত দেন যে এ ওয়ার্ডটির কিছু অংশ বিশেষ সংস্কার করার পর পুনরায় চাল করা যাবে। দীর্ঘদিন সংক্ষারের পর হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডটি আবারও চালু করা সম্ভব হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডটি দ্রুত সংস্কারের পর পুনরায় চালু করা হয়েছে। এছাড়া পরিষদের পক্ষ থেকে ৪জন পরিছন্নতাকর্মী হাসপাতালে দেয়া হয়েছে। রাঙামাটির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে জেলা  পরিষদ সব ধরনে সহায়তা প্রদান করবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর