বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে আরো। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বড়েই চলেছে পানি বৃদ্ধির স্তর। রবিবারের পর সোমবার আবারো পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার যমুনা নদী এলাকার সহস্রাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবার নতুন করে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় এ নিয়ে প্রায় এক ৮০০ হেক্টর জমির ফসল পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
বগুড়ার ধুনটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে চরের ৫৭ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরের শতাধিক পরিবার।
ধুনট উপজেলা কৃষি অফিস জানাচ্ছে, বন্যার পানিতে চরের ৪২ হেক্টর জমির রোপা-আমন ধান, ৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন শাক-সবজী, ৭ হেক্টর জমির মরিচ ও ২ হেক্টর জমির আখ নিমজ্জিত হয়েছে। আরো কিছু সবজির ক্ষেতে পানি ঢুকছে। তা জরিপ করা হচ্ছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহ আছে। পানি আগামী ১৮-২০ সেপ্টেম্বর নাগাদ পানি বাড়তে পারে। সোমবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পাশাপাশি সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা যমুনা নদী পয়েন্টেও পানি বাড়ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার সাহাদুজ্জামান জানান, উপজেলাল চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, কর্নিবাড়ি, ভাঙ্গরগাছা হাটবাড়ী, নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরতিনাথ, কুিড়পাড়া, চরবাটিয়া, মূলবাড়ী, ধারাবর্ষা চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার আমন বীজতলা সহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে বন্যার পানি উঠেছে। এপর্যন্ত ৬০০ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে রয়েছে। শনিবার ছিল ৫৬৫ হেক্টর জমি।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান
