১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৯:১৩

রাঙামাটির ডিসি বাংলোতে ড্রাগন ফলের সমাহার

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

রাঙামাটির ডিসি বাংলোতে ড্রাগন ফলের সমাহার

রাঙামাটির ডিসি বাংলোতে ড্রাগন ফলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। অপরূপ সুন্দর লতানো গাছে এখন কাঁচা-পাকা ড্রাগন ফলের সমারোহ। রসে ভড়া টসটসে ড্রাগন ফল দেখতে যেমন অদ্ভুদ সুন্দর, তেমনি খেতেও অনেক মজাদার। নাইট-কুইন ফুলের মত মধ্য রাতে ড্রাগন ফলের ফুল ফোটে। সকাল হওয়ার আগেই এ ফুল ফলে রূপান্তরিত হয়ে যায়। তাই সচরাচর ড্রাগন ফলের ফুল দেখার সৌভাগ্য হয় না অনেকেরই। 

জানা গেছে, তৎকালিন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও বর্তমান বাংলাদেশ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সামসুল আরেফিন সখের বসে বিদেশী প্রজাতীর ড্রাগন ফলের বাগান করেছিলেন রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকায়। এখন সে বাগানে ড্রাগন ফলে ভরপুর। সঠিক পরিচর্যার কারণে গাছগুলো বেশ সতেজ রয়েছে।

বাংলাদেশ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সামসুল আরেফিন জানান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক থাকাকালিন সময় বৃক্ষ মেলা থেকে একটি ড্রাগন ফলের গাছ সংগ্রহ করে ডিসি বাংলো বাগানে লাগিয়েছিলাম। পরে আরও গাছ সংগ্রহ করি। রাঙামাটি ডিসি বাংলো ড্রাগন ফলের বাগানে মোট ১০টি গাছ স্থান পায়। সে সময় গাছগুলোর সঠিক পরিচর্যার কারণে অনেক তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে। কয়েকটা গাছে ফলও আসে। ড্রাগনের ফুল ফুটে রাত ১১টায়। আর ফুল ফুটার সাথে সাথে ঢেকে দিতে হয়। ঢেকে না দিলে ফুল হবে, কিন্তু গাছে ফল হবেনা। এটা করতে হয় শুধু এক রাতের জন্য। ফল পাকতে সাধারণত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। 

তিনি আরও বলেন, সাধারণত বাউ ড্রাগন ফল দু’রঙের হয়ে থাকে। সাদা ও লাল রঙের। তবে লাল ড্রাগন ফলটি খেতে খুব সুস্বাদু। এ ফলের অনেক ঔষধিগুণও রয়েছে। এছাড়া পুষ্টিকর, মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এটি। বিদেশী জাতের এ ফলটি বাংলাদেশে অনেকটাই দুর্লভ। তবে এখন অনেক অঞ্চলে এ ড্রাগন ফলের চাষ হয়ে থাকে। তাছাড়া আবহাওয়া, মাটি ও পরিবেশের ভারসাম্যকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ড্রাগন ফলে বাগান গড়ে তোলা সম্ভব। 

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, পার্বত্যাঞ্চলে ড্রাগন ফলের বাগান এখন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। পাহাড়ি মাটিতে এ ফলের চাষাবাদ ভালো হচ্ছে। গবেষনার প্রাথমিক ফলাফল থেকে ধারনা করা হচ্ছে পাহাড়ের ড্রাগন ফলের উৎপাদনও অনেক হতে পারে। যদি সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ কার যায়, তাহলে এ ফল উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরাও ড্রগন ফল উৎপাদনের মধ্যে দিয়ে সমৃদ্ধশালী হতে পারে।


বিডি প্রতিদিন/সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর