উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি দিন দিন বেড়েই চলেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে ভাঙনসহ বড় বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট, নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। নদীতে স্রোত থাকায় বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং শহর রক্ষা বাঁধ ঘাঘট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এতে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে সদরের কামারজানি, সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, ফুলছড়ির উড়িয়া ও সাঘাটার হলদিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফলে অনেকে বসতভিটে ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন উঁচু জায়গায়।এদিকে, মানুষের জানমাল রক্ষায় ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রকৃত ভুক্তভুগীদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম