২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০১:৫৭

রংপুরে গণধর্ষণ মামলার চার আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:

রংপুরে গণধর্ষণ মামলার চার আসামি গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

রংপুরের পীরগঞ্জে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত আটটায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার খয়েরবাড়ী গ্রামের এনছার আলী (৩৫), তার স্ত্রী জয়নব বেগম (৩০), ধনশলা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক এন্তাজ আলী (৩৮) ও খোলাহাটী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মিষ্টি ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া (৩৬)। ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার রাতে পীরগঞ্জ থানা ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপর আসামি আমিনুল পলাতক রয়েছে। 

মামলার নথির বরাত দিয়ে ওসি রেজাউল করিম জানান, “পূর্ব পরিচয়ের জেরে পীরগঞ্জ উপজেলার খয়েরবাড়ী গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে এনছার আলীর আমন্ত্রণে ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার বাড়িতে আসেন ভুক্তভোগী নারী। ওই রাতেই স্ত্রীর সহায়তায় এনছার আলী ও মিঠু মিয়াসহ ৪ জন ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী নারী পরের দিন সন্ধ্যার পর মিঠুর সহায়তায় পীরগঞ্জের ধনাশালা গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক এন্তাজ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেও এন্তাজ আলী তাকে ধর্ষণ করে”।
 
“১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ফের এনছার আলী জোর করে ওই নারীকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে এনছার আলী ও তার স্ত্রী জয়নব বেগম ভুক্তভোগী নারীকে বেদম মারপিঠ করার পর হাত-পা বেঁধে গভীর রাতে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তায় ঢোকানোর চেষ্টা করলে ওই নারীর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়”। 

স্থানীয়রা ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ গোস্বামী বলেন, গণধর্ষণের কারণে মেয়েটির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। সুস্থ হওয়ার পর তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। 

ওসি রেজাউল আরও জানান, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। 


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর