২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১০:৫০

টাঙ্গাইলের যমুনায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলের যমুনায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীতে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। শনিবার সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা শেষ হয়। ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ দেখতে বিনোদন পিপাসু হাজারো মানুষের ঢল নামে যমুনার পাড়ে। 

রঙ-বেরঙের বাহারি নৌকা, বাদ্যযন্ত্র, নাচ-গান আর মাঝি-মাল্লাদের সুর-চিৎকার সব মিলিয়ে যমুনা নদীর গোবিন্দাসী এলাকায় বইছিল উৎসবের আমেজ। যমুনার পাড় হাজারো মানুষের যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির উদ্যোগে এই নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন শুক্রবার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ভুঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ।

ঢাক ঢোলের তালেতালে গ্রাম বাংলার গান আর বৈঠার ছন্দে মাতিয়ে তুলেছিল যমুনার নদীর ঢেউকে। আর সেই ছন্দে ছন্দে তাল মিলিয়ে নদীর তীরে হাজারো নারী-পুরুষ, শিশু কিশোর থেকে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত নেচে গেয়ে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করে। বাইচ শুরুর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার বিনোদন পিপাসু মানুষ নৌকাবাইচ দেখার জন্য যমুনা পাড়ে ভিড় করতে থাকে।

২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার ৩০টি বাইচের নৌকাসহ খেলনা নৌকা, ডিঙ্গি নৌকাসহ প্রায় শতাধিক নৌকা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় সাগরতরী, দ্বিতীয় হয় মানিক তরী, তৃতীয় হয়েছে একতা মায়ের দোয়া। 

শনিবার সন্ধ্যায় যমুনা নদী সংলগ্ন কুকাদাইর নামক স্থানে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তানভীর হাসান ছোট মনির, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হামিদ ভোলা, ফলদা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর ইসলাম দুদু, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার, অর্জুনা ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মোল্লা ও মনিরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

ভুঞাপুর উপজেলায় গোবিন্দাসী এলাকায় যমুনা নদিতে ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ দেখতে যমুনা নদীর উভয় পাড়ে জড়ো হন নারী পুরুষসহ নানা বয়সের হাজারো দর্শনার্থী। প্রতিযোগীদের বৈঠার ছলৎ ছলৎ শব্দ আর তাদের  নাচ গানে মুগ্ধ হন এসব দর্শনার্থীরা। 


বিডি প্রতিদিন/২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর