২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২১:১৬

'জনসমর্থনহীন বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না'

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

'জনসমর্থনহীন বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না'

জনসমর্থনহীন বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর এই চকরিয়ায় নির্যাতনের ভারি বর্ষণ হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়েছিল। মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল হাজার-হাজার নেতাকর্মী। সে কথা নিশ্চয় সবার মনে আছে। আমার নেতাকর্মীরা দশ বছর ঈদের নামাজ পড়তে পারেনি। বাবার জানাযার নামাজ পড়তে পারেনি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হয়। শান্তির সুবাতাস ছড়ায় সারাদেশে। এ অবস্থায় বিএনপি জামায়াত অনেক চেষ্টা করেছে সরকার হটানোর আন্দোলন করতে। দশ বছরে বিশটি ঈদ অতিবাহিত হয়েছে। প্রতিবারেই ঈদের পরে আন্দোলন করে সরকার হটানোর ঘোষণা দিলেও ওই ঘোষণায় জনগণ সাড়া না দেয়ায় বাস্তবে রুপ নিতে পারেনি। 

আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। 

প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াত। অথচ কোথাও কোথাও এমন অবস্থা চলছে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কতিপয় আওয়ামী লীগারই। ওইসব নেতাকর্মীকে নিজেদের সমালোচনা বন্ধ করে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও প্রতিপক্ষের ব্যর্থতার কথা বলতে হবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে হাজার হাজার মানুষ জাফর ভাইকে প্রার্থী চাই স্লোগান শুরু করলে জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এখানকার নেতাদের আমলনামা জমা আছে। সংগৃহীত রয়েছে জরিপ রিপোর্ট। জনপ্রিয়তায় যে এগিয়ে রয়েছে, তাকেই নমিনেশন দেয়া হবে। চকরিয়া-পেকুয়া আসনের প্রতি নেত্রীর সহানুভূতি রয়েছে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হতে পারে।      

আওয়ামী লীগ চকরিয়া উপজেলার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি আরো বলেন, ঈদ যায় ঈদ আসে বিএনপির আন্দোলন আর আসে না। এসময় তিনি বিএনপি’র উদ্যোশে বলেন, মরা গাঙ্গে কখনো জোয়ার আসবে না। বিএনপি এখন মরা দল। বিএনপি দেওলিয়া হয়ে এখন ৩০ দলে যোগ দিয়েছে। যাদের কোন জনসমর্থন নেই। এমনকি ওই দলগুলোর মধ্যে এমন নেতাও আছে নির্বাচনে মেম্বারও হবে না। 

তিনি প্রিন্ট মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও জনসমর্থন নিয়ে ব্যাপক প্রচার করলেও কিছু কিছু প্রিন্ট মিডিয়া আওয়ামী লীগের জনকল্যাণকর কাজগুলো চোখে দেখছে না। কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়া বিভিন্ন দাবি দাওয়ার আন্দোলনে উস্কানিমূলক লিখে দেশে অশান্ত পরিবেশ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সেই অপতৎপরতা ব্যর্থ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের দাবি ঠান্ডা মাথায় মেনে নিয়ে।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী সঞ্চালনায় লাখো মানুষের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন কসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষযক সম্পাদক আবদুর সবুর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মেয়র, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, রেজাউল করিম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, মাতুমহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন প্রচার টিম গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে সড়ক পথে চট্টগ্রাম পৌঁছে। আজ চট্টগ্রাম থেকে তিনটি পথসভায় যোগ দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চকরিয়ায় পূর্ব নির্ধারিত লাখো মানুষের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর