স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) কর্তৃক বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কার্যাদেশ না মেনে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এলাকার জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বান্দরবানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি নির্মাণ করছে। ৪ কোটি ৪ লক্ষ টাকার চুক্তিমূল্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি সম্পাদন করছে বান্দরবানের ঠিকাদার মোজাফফর আহমদ ও ইমতিয়াজ। ১০ শয্যা হাসপাতাল ভবন, স্টাফ কোয়াটার ও সীমানা ওয়াল নির্মাণের জন্য উক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শুরু হতে নির্মাণ কাজের মান খুবই খারাপ। তারা বলেও কোন প্রতিকার পায়নি। ফাইলিং, বেইজ ও পিলারসহ অধিকাংশ বড় কাজের সময় স্বাস্থ্য প্রকৌশলের কোন ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত থাকেন না। ঠিকাদার ও মিস্ত্রিরা তাদের মন মত কাজ করে। নির্মাণ কাজের নিম্ন মানের কংকর, রড, সিমেন্ট ও আশপাশের খাল ছড়া হতে তোলা বালু ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাণ কাজটি শুরুতে করা ফাইলিং সঠিকভাবে করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।নির্মাণকাজের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারি প্রকৌশলী মো. মোর্শেদ বলেন, আমি যখন গিয়েছি, তখন তো মালামাল ভালো দেখেছি। সবসময় থাকার তো সুযোগ নেই।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক ডা. অংচালু মার্মা বলেন, কিছুদিন পূর্বে কাজের মান খারাপ হচ্ছে শুনে মান ভালো করার নির্দেশ দিয়েছি। আবারো জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার