কক্সবাজারের র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) সদস্যরা এক অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ইয়াবা নিয়ে রামু থানা পুলিশের একজন কনষ্টেবল ও একজন ইয়াবা পাচারকারি সহ দুইজনকে আটক করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু বাইপাস সড়কে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানকালে পুলিশের আরো একজন কনষ্টেবল পালিয়ে গেছেন। র্যাব সদস্যরা মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে আটক পুলিশ ও পাচারকারিকে রামু থানায় সোপর্দ্দ করে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ইয়াবার চালানসহ আটক পুলিশের পোশাক পরিহীত রামু থানার কনষ্টেবলের নাম ইকবাল হোসেন। আটক ইয়াবা পাচারকারি অপরজনের নাম ইয়াছিন আরাফাত এবং তিনি ফেনীর বাসিন্দা।জানা যায়, র্যাব-৭ এর একদল সদস্য রামু বাইপাস সড়কে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামমুখি একটি মাইক্রোবাস আটক করে মঙ্গলবার ভোররাতে। মাইক্রোবাসটি নিয়ে রামু থানা পুলিশ নৈশকালীন টহল দিচ্ছিল। র্যাব সদস্যরা সেই মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ইয়াবার চালানটি উদ্ধার করে। অভিযানকালে রামু থানার আরও একজন পুলিশ কনষ্টেবল পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার কথা নিশ্চিত করে জানান, ‘রামু থানার টহল পুলিশের রিকুইজিশন গাড়িটি ঘটনার আগেই ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কিভাবে পুলিশ কনষ্টেবলের নিকট ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়েছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।’
থানার ওসি জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ইয়াবা কারাবারে জড়িত পুলিশ সদস্যদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর
