১৮৯৫ সালে মঙ্গল রাম সরকার নামে এক ব্যক্তি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পালপাড়া এলাকায় তৈরি করেন ‘শ্রী শ্রী মঙ্গল ভবন পূজা মন্ডপ’। এটি এ বছর ১২৩ বছরে পা দিয়েছে। যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতন পূজা মন্ডপ।
তবে বর্তমানে এটি নগেন্দ্র বাড়ি পূজা মন্ডপ নামেই পরিচিত।
পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ‘উদ্ভোধন’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সেই পত্রিকায় বলা হয়েছে সিলেটের পাচঁগাও একটি পূজা মন্ডপ রয়েছে। যা প্রায় ১৭০ বছরের প্রাচীনতম মন্ডপ। নালিতাবাড়ীর এই মঙ্গল ভবন পূজা মন্ডপ বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম।দেবী দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ আর জগতে শক্তি প্রতিষ্ঠা হবে- এ বিশ্বাস নিয়ে বরাবরের মতো এ বছরও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় পালিত হচ্ছে মঙ্গল ভবন পূজা মন্ডপের দুর্গা উৎসব। ১২৩ বছরের পুরাতন মন্ডপ বলে কথা। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেবী দুর্গার আর্শীবাদ লাভের জন্য এই মন্ডপেই সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে বিভিন্ন বয়সের ভক্তদের।
শেরপুর জেলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন দুর্গা মন্ডপ এটি। তাই এই মঙ্গল ভবন পূজা মন্ডপকে ঘিরে ভক্তদের আকর্ষণ একটু বেশিই। আর প্রতি বছরই এই মন্ডপে দেশীয় সংস্কৃতির প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এই মন্ডপের দুর্গা উৎসব শুধু সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য ধর্মালম্বীর মানুষও এই পূজা মন্ডপ দেখতে আসেন।
মঙ্গল ভবন পূজা মন্ডপ উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন কুমান পাল বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পূজা মন্ডপ। তাই আমরা চেষ্টা করছি এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য। আশা করি এ বছর আমরা সফলভাবে আমাদের দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল বলেন, আমাদের এই পূজা মন্ডপটি ১২৩ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। এখানে সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা হয়। এছাড়া ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করছেন বলেই এতো বছর ধরে টিকে আছে এই মন্ডপটি ।
বিডি প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল