১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৬:৩৪

'বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন অমান্যকারী প্রত্যেকেরই শাস্তি পেতে হবে'

গাজীপুর প্রতিনিধি :

'বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন অমান্যকারী প্রত্যেকেরই শাস্তি পেতে হবে'

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত হলে বাল্যবিয়ে বন্ধ নিশ্চিত হয়ে যাবে। ১৮বছরের নিচে কোন মেয়ে বা ছেলে যদি নিজের ইচ্ছায়ও বিয়ে করে তাহলে তাদের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন অমান্যকারী প্রত্যেকেরই শাস্তি পেতে হবে।

বুধবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার বলদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (পঞ্চম পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে শিশু মেলা-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসাইন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার রাহাত হাসনাত, বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান শুকুর, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম খান, কৃষকলীগ নেতা মনির হোসেন, ভাওয়াল বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মোড়ল, বলদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা সুলতানা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিম আক্তার, আফরিন আক্তার, সায়মা আক্তার প্রমূখ।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মেয়েদের বাল্যবিয়ে হলে তাদের লেখাপড়াটা বন্ধ হয়ে যায়। তারা বাচ্চা লালন পালনের পূর্ণ জ্ঞান লাভের আগেই মা হয়ে যায়। নতুন পরিবারের গিয়ে কোন কাজ-কর্ম কিছুই করতে পারে না। প্রথমে ভালবাসা দেখিয়ে বিয়ে করে নিয়ে যায়। পরে সংসারে সৃষ্টি হয় নানা অশান্তি। মহিলাদের যে নির্যাতনটা হয় সেটা বাল্য বিয়ের কারণেই বেশি হয়।

প্রতিমন্ত্রী চুমকি বলেন, বর্তমান সরকার মা ও শিশু মৃত্যুরোধের জন্য ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত হয়েছেন। আমরা শিশুর পুষ্টির জন্য ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। আমরা শুধু শিশু নয় মায়েদের প্রতিও দৃষ্টি রাখছি। যাতে করে মায়েরা সুস্থ্য থাকতে পারে এবং তারা সুস্থ্য শিশু জন্ম দিতে পারে। মায়েদের আমরা লেক্টেটিং ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা ও ভিজিডি দিচ্ছি। আমরা ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে মায়েদের জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জে নারীদের জন্য একটা মার্কেট করে দিতে যাচ্ছি। সেখানে নারীরা বেঁচাকেনা করবে। মায়েরা ভাল থাকলে, শিশুরা ভাল থাকবে। মায়ের মনে যদি দু:খ থাকে, মায়ের হাতে যদি অর্থ না থাকে তাহলে তিনি শিশুর অনেক চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। এর জন্য মাকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে হবে। শিক্ষা-দিক্ষায় নিজেকে তৈরী করতে হবে।

দুই দিনব্যাপী এ শিশু মেলায় সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েক শ' শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। মেলায় ৫টি স্টল থেকে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, তাদের ওজন ও উচ্চতা মাপা এবং দৃষ্টি শক্তি পরিমাপ করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০জন গৃহহীনকে তাদের গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এ প্রকল্পের আরো ১৩০ জনকে আগামি এক মাসের মধ্যে তাদের গৃহের চাবি প্রদান করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এছাড়া শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী তার নিজস্ব তহবিল থেকে বাড়িয়া ইউনিয়নের ৭টি পূজামন্ডপে নগদ ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর