শরীয়তপুরের জাজিরায় পালেরচর এলাকার পদ্মা নদী থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্পিডবোটে করে মাছ শিকারের সময় মঙ্গলবার রাতে দুই বোটে সংঘর্ষে জেলে ইলিয়াছ মোল্যা (৩৫) ও আব্দুল খালেক (৫০) নিখোঁজ হন। ইলিয়াছ মোল্যা নাওডোবা নকরি মাদবরকান্দি গ্রামের শুকুর মোল্যার ছেলে আর খালেক পাশের পৈলান মোল্যার কান্দি গ্রামের ওহাব চোকদারের ছেলে।
জাজিরা থানা ও জেলেদের পরিবার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে পৈলান মোল্যার কান্দি গ্রামের হারুন খানের ও মালেক খানের স্পিডবোটে করে কয়েক জন জেলে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারের যায়। রাত ১১টার দিকে পূর্ব নাওডোবা এলাকায় পদ্মা নদীতে বোট দু'টি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন বোটে থাকা ১৬ জন জেলে পানিতে পরে যায়। ১৪ জন সাতরে তীরে উঠতে পারলেও ইলিয়াছ ও খালেক নিখোঁজ হন। তাদের নিখোজ থাকার বিষয়ে ইলিয়াছ মোল্যার চাচা মোতাহার মোল্যা জাজিরা থানায় বুধবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পালেরচর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে মানুষের দেহ পরে থাকার খবর পেয়ে ইলিয়াছের পরিবার ছুটে যায়। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চলছে ইলিশের প্রজনন মৌসুম, এ মৌসুমে মা ইলিশ ডিম ছারা জন্য নোনা পানি থেকে মিটা পানি আসছে। এ কারনে সরকার গত ৭ অক্টোবর হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে। এ সময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, বিপনন ও মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকার করছেন।
এ বছর এক শ্রেনীর প্রভাবশালি ব্যক্তি ও কিছু জেলে দ্রুতগতির নৌযান স্পিডবোট ব্যবহার করে ইলিশ শিকার করছেন। ওই চক্রটি জাজিরার পাইনপারা হতে নড়িয়ার সুরেশ্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করছেন। গত চার দিনে মৎস্য বিভাগ পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১১টি স্পিডবোট জব্দ করেছে।
জাজিরা থানার উপপরিদর্শক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, রাতের আধারে মাছ শিকার করার সময় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীর চর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি জিডি হয়েছে, যদি মামলা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ