আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আলোচিত সেই আমানুর রহমান খান রানা এমপির আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল ডিঙ্গি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. কামরুল হাসান খান নির্বাচন সামনে রেখে ঘাটাইল নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে তার প্রার্থীতার কথা জানান। এসময় নানা ধরনের পোস্টার-ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ কর হয়।
ডা. কামরুল হাসান খান আকস্মিক নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ায় এবং তার কর্মী-সমর্থকদের দৌঁড়-ঝাঁপ দেখে এ আসনে কে মনোনয়ন পাবে তা নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, আমি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে আসিনি। শিশুকাল থেকেই ঘাটাইল এবং ঘাটাইলের মানুষের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মেডিকেল ছাত্র থাকাকালে চিকিৎসার প্রয়োজনে সে সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
২০০১ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ঘাটাইলের সাবেক সাংসদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শামসুর রহমান খান শাহজাহানের নেতৃত্বে স্থানীয় রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হই। তারপর থেকেই উপজেলা পর্যায়ের সকল স্তরের আওয়ামী সংগঠনগুলো সু-সংগঠিত করি এবং উপজেলার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।
তিনি বলেন, ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বরের আগে ৮ নভেম্বর ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তৃণমূলের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে কাউন্সিলে কাউন্সিলররা আমাকেও সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্বাচিত করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো। আমি এমপি নির্বাচিত হলে ঘাটাইল উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। এছাড়া আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের সংগঠনে কোন্দল রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে সে সকল কোন্দল আমি নিরসন করে নেতাকর্মীদের মধ্যে আন্তরিক সমন্বয় সৃষ্টি করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পাই বা না পাই। সেটা বড় কথা নয়। আমি আগে থেকেই ঘাটাইলের সকল স্তরের মানুষের সেবা ও ঘাটাইলের উন্নয়নে কাজ করে আসছি। এবং ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ, ড. কামরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসাদুল আখতার শামীম, কামনাশীষ শেখর, টাঙ্গাইল টেলিভিশন রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি ইফতেরুখল অনুপম প্রমুখ।
ঘাটাইল উপজেলার ভবনদত্ত গ্রামের সন্তান কামরুল হাসান খান বর্তমানে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশীদের ছোট ভাই।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত