শিরোনাম
১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০২:৩৩

নড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

নড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নসাশন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন দেওয়ান (৪০)-কে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ উঠেছে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে কুপিয়ে জখম করেছে। জসিম উদ্দিন দেওয়ান উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের সাওরা গ্রামের মৃত ইদ্রিস দেওয়ানের ছেলে।

বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের সাওরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জসিম উদ্দিনকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে আশংকাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, নশাসন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হোসেন মোল্লা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন তালুকদার। সেই নির্বাচনে বাবুল মোল্লাকে সমর্থন দেয় জসিম উদ্দিন দেওয়ান। সেই থেকে জসিম উদ্দিন দেওয়ানের সাথে দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক মামলা হামলার ঘটনা ঘটে। 

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে জসিম উদ্দিন দেওয়ানের বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে ১৫-১৭ জন লোক ঘরের ভিতরে ঢোকে। তখন শব্দ পেয়ে জসিম উদ্দিনের ভাড়াটিয়া মফিজ মল্লিক কাছে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পরে। পরে মফিজের চিৎকারের শব্দ পেয়ে জসিম উদ্দিন দেওয়ান এগিয়ে আসলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় ৬টি আঘাত করে। তখন প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

জসিম উদ্দিন দেওয়ানের শ্যালক জুয়েল হাওলাদার (২৮) বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আমার বোনজামাই ও নশাসন ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের সাথে দ্বন্দ চলছিল। বুধবার রাতে  তার (দেলোয়ার হোসেন তালুকদার) লোকজন নিয়ে আমার বোন জামাইকে কুপিয়ে আহত করে। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নশাসন ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার দাবী করে বলেন, আমার কোন লোক জসিম দেওয়ানের উপর হামলা করেনি। এটি একটি চুরির ঘটনা বলে আমরা শুনেছি। শত্রুতা বসত এখন আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমাকে জড়িয়ে কথা বলছে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এঘটনায় এখনো আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। পুলিশের তদন্ত চলছে, ঘটনার সাথে জরিতদের আটকের চেষ্টা চলছে। 


বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর