ঠাকুরগাঁওয়ে মাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে ডাক্তার হামিদুর রহমানের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

ক্লিনিক ও রোগীর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় বোদা উপজেলায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের গর্ভবতী স্ত্রী নাজমুন নাহার (৩১) গত বৃহস্পতিবার রাতে সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. হামিদুর রহমান। শুক্রবার সকালে রোগীর অতিরিক্ত রক্তচাপের ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া শুরু করে। রোগীর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডা. হামিদুর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা মুমূর্ষু রোগীকে রংপুরে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। 

ডা. হামিদুর রহমানের কাছে রোগীর মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগীর রক্তক্ষরণে কথা জানার পর দ্রুত রংপুর যাওয়ার পরামর্শ দেই। তাছাড়া ক্লিনিকে আইসিইউ না থাকার কারণে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বিষয়টি রোগীর স্বজনের পরিবারের সাথে মিমাংসা করে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

মাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বাবলু জানান, রোগীকে বাঁচানোর জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল না। ডাক্তারের অসাবধানতা কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খায়রুল কবির জানান, বিভিন্ন ক্লিনিকের নামে নানা রকম অভিযোগেরর বিষয়ে জানা গেছে। এ সকল বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন বে-সরকারি ক্লিনিকে ডাক্তারের অবহেলায় ৪ জন প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খায়রুল কবিরের কাছে জেলা স্বাস্থ্য মাসিক সভায় একাধিক অভিযোগ করলেও কোন প্রকার কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে লক্ষ্য করা যায়নি।

বিডি প্রতিদিন/১৯ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল