২০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:০৬
৪ লক্ষাধিক গ্রাহকের ভোগান্তি

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ'র মিটার রিডারদের ৭ দফা দাবিতে কর্মবিরতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ'র মিটার রিডারদের ৭ দফা দাবিতে কর্মবিরতি

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা ৭ দফা বাদীতে বিক্ষোভ মিছিল,  কর্মবিরতি এবং স্মারক লিপি পেশ করেছে সমিতির জিএম বরাবর। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪ লক্ষাধিক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল পাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

শনিবার নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎয়ের মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা চাকুরি নিয়মিতকরণ, চাকুরিচ্যুতদের পুনঃবহাল, কাজের পরিমান কমানো ও  মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের পদ পৃথকী করণসহ ৭ দফা দাবীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের কাছে স্মারক লিপি পেশ করেন। 

তার আগে গত  ১৩ অক্টোবর থেকে টানা অনিষ্টিকালের জন্য কর্মবিরতি পালন  করে আসছে তারা। স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় পল্লী বিদ্যুতায়য়নের অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর ৪৯৪তম সভায়  মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের ৯ বছর চাকুরি করার পর অন্য সমিতিতে আবেদনের মাধ্যমে বিনা পরীক্ষায় ৫৫ বছর পর্যন্ত চাকুরি করতে পারবে।কিন্তু তা বাস্তুবায়ন না করায় অনেকে চাকুরিচ্যুত হয়। ২০০৯ সালে এক জন মিটার রিডার ১ হাজার ৭০০ মিটার রিডিং সংগ্রহ করছে  ও ম্যাসেঞ্জার সম পরিমান বিল বিলি করবে। কিন্তু ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ২ হাজার মিটার রিডিং ও সমপরিমান বিল বিতরণ করার নির্দেশ দেয়া হয় । ২টি পদকে একত্রিত করে এবং ৪ হাজার রিডিং ও বিল বিতরণ করতে গিয়ে রাত দিন যথারীতি হিমশিম খেতে হয়। 

তারা আরও অভিযোগ করেন, এরই মাঝে আরইবির নির্দেশ  লংঙন করে বর্তমান জিএম শংকর লাল দত্ত  বর্তমানে ৩ হাজার মিটার  রিডিং ও ৩ হাজার বিলির কাজ করতে নির্দেশ দেয়। আগের  এনালগ মিটারের স্থলে বর্মমানে ডিজিটাল মিটার রিডিং নিতে তিন গুন সময় বেশী প্রয়োজন হয় । এতে কার্যত তিন গুন কাজ বেশী করার জন্য চাপিয়ে দেয়। এতে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

তারা আরও জানান, দাবি সমুহ ও সমস্যা গুলোর  ব্যপারে দফায় দফায় জিএম কে জানানোর পর ও  তিনি কোন কর্ণপাত না কয়ায় ১৩ অক্টোবর থেকে তারা কর্ম বিরতি পালন করে আসছে।  

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎয়ের জিএম শংকর লাল দত্ত ৩ হাজার রিডিংয়ের ব্যপারে অস্বীকার করে বলেন , তাদের দাবী সমুহ মেনে নেয়ার ক্ষমতা আমার নেই । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা সিন্ধান্ত দেয়  তা হবে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর