বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল শামিমা খাতুন শ্যামলা (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রী।
শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রাম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শামিমা খাতুন শ্যামলা ওই এলাকার শাহিনুর রহমানের মেয়ে ও সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
ইউএনও ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শামিমা খাতুনের বিয়ে উপজেলার বীরপলি গ্রামের সহকারী শিক্ষক মকবুল হোসেনের ছেলে জাকারিয়া হোসেনের সঙ্গে ঠিক করেন তার পরিবারের লোকজন। শুক্রবার রাতে এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে উপলক্ষে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল।সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আখতার পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। তারা সেখানে গিয়ে কনের বাবা-মা এবং পরিবারের সকলকে বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা মেয়ের বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা দেন।
এদিকে বিয়ের বাড়িতে ইউএনও’র উপস্থিতির খবর পেয়ে বর পক্ষের লোকজন পথিমধ্য থেকে ফিরে যান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর