২১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৫৩

সংযোগ সড়ক ছাড়া এ কেমন ব্রিজ!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সংযোগ সড়ক ছাড়া এ কেমন ব্রিজ!

হবিগঞ্জের বানিংয়াচং উপজেলার হাওর এলাকার শেষ প্রান্তে কুমড়ী বাজার ও ফেরেঙ্গিটিলা গ্রামের মাঝে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছে একটি ব্রিজ! যার সাথে নেই কোন সংযোগ সড়ক। ফলে উভয় দিকে তৈরি করা বাশের সাঁকোই এখন এলাকাবাসীর ভরসা। 

ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই ব্রিজ দিয়ে। ব্রিজটিও ঝুকিপূর্ণ থাকায় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর পূর্বে কুমড়ী বাজারের পাশে খালের উপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজ দিয়ে বানিয়াচং উপজেলার ফেরেঙ্গিটিলা গ্রামবাসীসহ পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের অস্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার ৭/৮ গ্রামের লোকজন কুমড়ী বাজারে আসেন। সপ্তাহের বুধবার ও শনিবার এখানে হাট বসে। এছাড়াও কুমড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে আসতে হয় এই ব্রিজ দিয়ে। 

কিন্তু বর্ষাকালে ব্রিজের উভয় দিকে পানির নিচে থাকায় এলাকাবাসী সেখানে বাশের সাঁকো তৈরি করে। ফলে ব্রিজ থাকলেও এর সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায়না। কারণ এর উপর দিয়ে কোন রিক্সা বা যানবাহন যেতে পারে না। আর শুকনো মৌসুমে লোকজন ব্রিজের নিচ দিয়েই চলাচল করে। ফলে ওই সময় ব্রিজটি ব্যবহার করা হয়না।

কুমড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও হবিগঞ্জের আইনজীবী এডভোকেট আইয়ূব আল আনসারী জানান, ৫-৬ বৎসর ধরে শোনা যাচ্ছে ব্রিজের উভয় পাশে মাটি ভরাট করা হবে। কিন্তু বাস্তবে কোন কাজই হচ্ছে না। বর্ষাকালে এই ব্রিজের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এর জন্য আলাদাভাবে সাঁকো তৈরি করতে হয়। শুকনো মৌসুমে ব্রিজের নিচ দিয়েই চলাচল করে লোকজন। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিজটি ব্যবহার করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

গ্রামের আরেক বাসিন্দা ঢাকার একটি ঋণ আদায়কারী ফার্মের স্বত্তাধিকারী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ব্রিজের উভয় পাশে যেমন সংযাগ সড়ক নেই, তেমনিভাবে ব্রিজটিও অনেক পুরনো। যে কোন সময় এটি লোকজনসহ ভেঙে যেতে পারে। তিনি উভয় পাশে সংযোগ সড়কসহ নতুন করে ব্রিজটি নির্মানের দাবি জানান।

কুমড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার জানান, স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে। বাশের সাঁকো ব্যবহারে দুর্ঘটনার অনেক ঝুঁকি থাকে।

পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, এখানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদ ও সংসদ সদস্যকেও অবগত করা হয়েছে। আশা করা যায় শিগগিরই এখানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একই সাথে উভয় দিকে মাটি দিয়ে ভরাটও করা হবে। এতে করে আলাদা কোন সাঁকোর প্রয়োজন হবে না।

এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব পাল জানান, ব্রিজ প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ একটি প্রস্তাব প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর