১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫৪

জাল সনদ প্রমাণিত, তবুও চাকরি বহাল তবিয়তে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

জাল সনদ প্রমাণিত, তবুও চাকরি বহাল তবিয়তে

সিরাজগঞ্জে ভুয়া সনদ প্রমাণ হবার পরেও সিরাজগঞ্জে একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক চাকরিতে বহাল তবিয়তে থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। অভিযোগ রয়েছে- প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে লিখিতভাবে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালী ওই শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। 

এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। 

জানা যায়, রতনকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউপির বয়ড়াভেন্নাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০২ সালে জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমীর সনদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে চাকরি নেন। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত বেতন-ভাতাও উত্তোলন করছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য নুরুল ইসলাম সনদটি জাল জানতে পেরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার শফীউল্লাহ বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তে নট্টামস কর্তৃপক্ষ সনদটি জাল বলে লিখিতভাবে শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেন। এরপরই জেলা শিক্ষা অফিসার জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশের দুইমাস পেরিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো ওই প্রভাবশালী শিক্ষকের পক্ষ থেকে তাকে বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এ অবস্থায় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকসহ স্থানীয়দের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। 

এদিকে জাল সনদের ব্যাপারে অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

অন্যদিকে জাল সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা অফিস ম্যানেজিং কমিটিকে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, একাধিকবার বৈঠকের চেষ্টা করলেও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করছে না। যে কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।


বিডি প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর