নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাপত্র নিয়ে যাওয়া ও পরীক্ষার্থীদের আটকে দেয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে বুধবার দুপুরে ওই সিদ্ধান্ত আসে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
এরআগে বুধবার সকালে তোলারাম কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্ররা ওই বিক্ষোভ দেখান। ওই সময়ে তারা শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বহিষ্কার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার জন্য সুপারিশ ও সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে সকল ছাত্র ছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে (গর্ভমেন্ট গার্লস স্কুল হিসেবে পরিচিত) মাস্টার্স পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা পরিদর্শনের দায়িত্বে ছিলেন মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রফিকুল ইসলম। তখন তিনি মোবাইল ফোন আনার অপরাধে কয়েকজন শিক্ষার্থীর খাতা নিয়ে নেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি হলে থাকা সকল শিক্ষার্থীর ফোন নিয়ে নেন। তখন ৪০জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাপত্র রেখে দেন পরীক্ষক নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম। কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এসময় আটকে রাখা হয়েছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ হয়েছিল। ওই ঘটনার রেশ ধরে বুধবার সকাল থেকে আবারো বিক্ষোভ শুরু হয়।মো. আব্দুল আহাদ নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষককে বহিষ্কারের জন্য আমরা সকল শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সহ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও এডিসি শিক্ষাকে চিঠি দিয়েছি। এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে জানানো হবে।’
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা রফিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছি। এ সমস্ত অভিযোগের নিস্পত্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত রফিকুল ইসলাম কলেজের এবং কোনো বোর্ড পরিক্ষার দায়িত্বে থাকবেন না। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারিশ করবো যাতে শিক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হয়।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন