বগুড়ার শিবগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে সিসি ক্যামেরায় দেখে উল্টো কৃষক লীগের দুই নেতা ফেঁসে গেছেন। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বিপুল এবং একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুলকে গ্রেফতার করার পর মাদক মামলায় আসামি করে আজ বুধবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ জানান, উপজেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হানী মোল্লা মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য। স্থানীয় কিছু লোক তাকে অনেক দিন ধরেই নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করে আসছিল। এ ধরনের খবর পেয়ে তিনি পুলিশকে জানানোর জন্য মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানায় যান। সেখানে থানা পুলিশের সাথে পরিচয় শেষে আবু হানীকে ফাঁসানো হতে পারে এমন কথা জানান। বিকালের দিকে থানা থেকে বের হওয়ার সময় থানা পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর পুলিশ সদস্যরা আবু হানীর মোটরসাইকেলের সামনে হেডলাইটের ওপরের কভারের ভেতর থেকে ১০ পিস ইয়াবা বের করে।
উপজেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হানী মোল্লা জানান, এ বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের জানান যে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। থানার সিসি ক্যামেরা দেখলেই সমাধান হবে। পরে পুলিশ সদস্যরা সিসি ক্যামেরা দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হন যে, তাকে ফাঁসাতে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বিপুল এবং একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুলের রেখে যাওয়া ইয়াবার ঘটনা। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর ওই দু’জনসহ মোট চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু হানী মোল্লাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। সিসিটিভির ফুটেজ দেখার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় জড়িত আবু বক্কর সিদ্দিক বিপুল এবং ওবাইদুল নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু তারা মাদক এনে অন্যকে ফাঁসাতে চেয়েছিল তাই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনেই মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার