নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নীলক্ষায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পৃথক সংঘর্ষে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই আধিপত্য দীর্ঘদিনের। দুই দলের দুই নেতা সাহেদ সরকার ও সিরাজুল চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর বেশ কিছু দিন এই সংঘর্ষ ছিল। আজ ভোড়ে হঠাৎ সাহেদ সরকারের সমর্থকরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ওই সময় প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল সমর্থকরা বাধা দেয়। এনিয়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এই সংঘর্ষ রাশগাড়ী ছাড়িয়ে নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, হামলা পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কি পরিমান লোকজন আহত হয়েছে সেটা এখেনো নিশ্চিত নয়। তার কারণ চরঞ্চলে যাতায়েতের কোন ব্যবস্থা নেই। এক কথায় রিমোট এরিয়া। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে। এরই মধ্যে ৯টি আগ্নোয়াস্ত্র, গুলিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল