২০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৯

চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য এখনো আঁধারে

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য এখনো আঁধারে

কেন, কী কারণে, কারাই বা মস্তক দ্বিখণ্ডিত করে হত্যা করেছে সুলতানকে? এখনও এসব প্রশ্নের জবাব বের করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য ভেদ করতে পারেনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ইটভাটা শ্রমিক চাঞ্চল্যকর সুলতান হত্যাকাণ্ডের। তবে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তার প্রথম স্ত্রী রোজিনা বেগম ও সুহেল আহমদ নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ব্যক্তিগত জীবনে সুলতানের দু’জন স্ত্রী থাকার কারণে পারিবারিক কলজের জেরে এই হত্যাকাণ্ড কি না সেটি মাথায় রেখেই রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। পাশাপাশি, ঘটনার পূর্বের দিন সকালে কর্মস্থল থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবার পরদিন সকালে কর্মস্থলের অদূরে সুলতানের মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ পড়ে থাকার রহস্য উদঘাটনেও কাজ করছে তারা। তবে, আসলে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড! ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও তার নিশ্চিত কোনো রহস্যই উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ।

এ নিয়ে মুঠোফোনে কথা হয় থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএমের সাথে। তিনি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে জানান, রহস্য উদঘাটনে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি। দুই তিনটা ইস্যু সামনে রেখে তৎপরতা চালাচ্ছি আমরা।

যে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ! কিছুটা পাওয়ার কারণেই তো তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর শনিবার উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের ইছরাব আলীর বাড়ির সামনে বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কে মাথা বিচ্ছিন্ন যুবকের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয় আজিজনগরের একটি ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের দেয়া তথ্যমতে ও লাশের সাথে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে লাশটি ওই ব্রিক ফিল্ড শ্রমিক সুলতান মিয়ার বলে শনাক্ত করা হয়। সে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার দুর্বাকান্দা পাতাইরা গ্রামের আলকাছ মিয়ার পুত্র।

সেসময় শ্রমিকরা জানায়, সুলতান মিয়া ২ নভেম্বর শুক্রবার শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেট শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ কর্মস্থল থেকে বের হয়। শনিবার সকালে কর্মস্থলে এসে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও ওইদিন ভোরে ব্রিক ফিল্ডের কাছে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের ইছরাব আলীর বাড়ির সামনে বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কে পাওয়া যায় তার লাশ। ঘটনার পরদিন রবিবার রাতে তার বড়ভাই লোকমান মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি রেখে বিশ্বনাথ থানায় মামলা (নং-৪) দেন। মামলার প্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন হিসেবে সুলতানের প্রথম স্ত্রী রোজিনা বেগম ও সুহেল আহমদ নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।  

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর