শিরোনাম
২২ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:৩৯

পার্বতীপুরে ৪ লাখ মানুষের সেবায় হাসপাতালের দুই জন চিকিৎসক!

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর:

পার্বতীপুরে ৪ লাখ মানুষের সেবায় হাসপাতালের দুই জন চিকিৎসক!

চিকিৎসক, কনসালটেন্টসহ জনবল সংকট এবং অপরেশন থিয়েটার বন্ধসহ নানা সংকটে জর্জরিত দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রায় ৪ লাখ মানুষের সেবা প্রদানে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র দুইজন। এর মধ্যে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম এবং অপরজন ডা. ওয়াশিবুর রহমান। ওয়াশিবুর রহমান ৩ মাসের জন্য এই হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়েছে। অথচ ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে থাকার কথা ৩৪ জন চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ছাড়াও পার্বতীপুরে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ৮ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৫ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের একই অবস্থা। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দেড়-দুই’শ রোগী বহিবির্ভাগে সেবা নিতে আসে। কিন্তু চিকিৎসকসহ জনবল সংকটে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ। প্রায় এক বছর ধরে বিকল এক্স-রে মেশিন। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সার্জিক্যাল বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ ও এ্যানেস্থেসিয়া বিভাগে কনসালটেন্ট পদে কোন চিকিৎসক নিয়োগই দেয়া হয়নি। নানা সংকটে সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। যেন হাসপাতালটিই এখন রোগী হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জিক্যাল), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেওলজিষ্ট), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চু), ফামাসিষ্ট, হিসাব রক, নার্সিং সুপারভাইজার, মেডিকেল টেকনিক্যাল (রেডিও), মেডিকেল টেকনিক্যাল (ফিজিও), কার্ডিও গ্রাফারসহ হাসপাতালের দুটি (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) শুন্য রয়েছে।  তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেনির চিকিৎসা সহকারীও কম রয়েছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাধারণ গরিব মানুষরা অন্য কোথাও যেতে পারি না বলে এখানে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে ভালো সেবা পাচ্ছি না। 

অপরদিকে চিকিৎসক সংকটের সুযোগে হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে হাজিরা দিলেও তারা হাসপাতালে না থেকে শহরের প্রাইভেট কিনিকে রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ রোগীদের। 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিকিৎসক সংকটে সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়। এসব বিষয় নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। তবে আগামী স্পেশাল বিসিএস'র নিয়োগের পর হয়তো এ চিকিৎসক সংকটের সমাধান হতে পারে।  

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর