১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:৩৩

রাজশাহীতে বিএনপি ছাড়লেন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে বিএনপি ছাড়লেন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।  এসময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উপজেলার শলুয়া ইউপির সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম তিলু ও চারঘাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিউর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম।

যোগদানকারীদের উদ্দেশে শাহরিয়ার আলম বলেন, আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে চারঘাট-বাঘা তথা সারাদেশে যে উন্নয়ন ঘটিয়েছে তা মানুষ মনে করলে নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় ভোট দেবে না। নৌকা প্রতীক মানেই দেশের উন্নয়ন। নৌকা প্রতীক মানেই সমাজের পরিবর্তন। নৌকা প্রতীক মানেই শান্তিতে ঘুমানো। নৌকা প্রতীক মানেই জনগণের প্রতীক। নৌকা প্রতীকে মানেই অন্যায়কে পেছনে ফেলে ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করা।

এ সময় শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, যারা সন্ত্রাসীদের নিয়ে চলে তারা কখনও দেশের উন্নয়ন করতে পারে না। তারা পারে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে। সন্ত্রাসীদের লালন করতে। আওয়ামী লীগে কোনো সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। সন্ত্রাসীরা পারে সাধারণ নিরিহ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে বিএনপি-জামাত সারাদেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা জনগণ ভুলেনি। এখনও তাদের আর্তনাদ শোনা যায়। আর সেই দিনের ভয়াল কাহিনী মনে হলে শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠে। রেল লাইনের পাত খুলে দিয়ে যে বর্বরতা সৃষ্টি করেছিল তা বাংলার জনগণ কখনও ভুলতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, যারা একবার বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বুকে ধারণ ও লালন করবে তারা কখনও আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্যুত হবে না। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত দল। এ দল নীতি ও আর্দশ নিয়ে চলে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সন্ত্রাসীকে না বলে জনগণের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে সকলকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. টিপু সুলতান, সদস্য সাইফুল ইসলাম বাদশা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, যুবলীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর