১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৪৬

দিনাজপুরে পথে পথে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরে পথে পথে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

দিনাজপুরসহ উত্তরের জনপদে কুয়াশার চাদরের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে হিম শীতলের পরশ। আর এসময় হিম-শিতলকে ছাপিয়ে চলছে নির্বাচনী উত্তাপে নতুন চালের পিঠা খাওয়ার ধুম। শীতের আমেজে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, কুলসি পুলি, চিতই পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, দুধ পুলি পিঠা, ক্ষির পুলি পিঠা, নারিকেল পুলি পিঠা ও পাটিশাপটা পিঠা অন্যতম।

কালের আবর্তে এসব পিঠা হারিয়ে যেতে বসলেও শীতের সকাল-সন্ধ্যায় দিনাজপুরের বিভিন্ন জনবহুল মোড়, হাট-বাজার, পথ-ঘাট ও গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বসে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানগুলোতে দেখা যায় পিঠা প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়।

শীতের সকালে এবং বিকেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ধনী-গরীব, কুলি মজুরসহ সর্ব শ্রেণি পেশার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এসব পিঠার দোকান। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সকাল কিংবা সন্ধার পর বিভিন্ন মার্কার নির্বাচনী প্রচারনায় পিঠা খাওয়া যেন কাজের গতি বাড়ায়।  

পিঠা প্রেমী রফিকুল ইসলাম ও মুকুল চ্যাটার্জী বলেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই হাতের নাগালে আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা পাচ্ছি। এসব পিঠার দাম কম আবার খেতেও সুস্বাদু।

হিলিতে পিঠা বিক্রেতা রওশন আরা ও দারাবদ্দিন সুমন (দম্পতি) জানান, শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রির পাশাপাশি অন্য সময় পিঁয়াজু, পাপড় ও বিভিন্ন ধরনের চপ বিক্রি করে থাকি। এসময় অন্যান্য পিঠার চাহিদা কিছুটা কম থাকায় সকাল-সন্ধ্যায় গরম গরম ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠার কদর ও চাহিদা বেড়েছে। এরপরে চলছে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা। তাই দোকানে বিক্রিও ভাল হচ্ছে। শীত যতো বেশি হবে, পিঠা বিক্রি ততো বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকার পিঠা বিক্রি করে থাকেন এক একজন পিঠা বিক্রেতা। যা পিঠা তৈরির উপকরণসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৭শ টাকা লাভ হয় বলে জানান তারা।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর