১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৮:০৫

হালুয়াঘাটে মিশ্র খামারে ১০ তরুণের সাফল্য

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

হালুয়াঘাটে মিশ্র খামারে ১০ তরুণের সাফল্য

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ১০ শিক্ষিত তরুণের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠেছে মিশ্র খামার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই শখের বসে ঘরে তোলা এই খামার এখন বাণিজ্যিক রূপ লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। 

গেল বছরের জানুয়ারি মাসে উপজেলার ইউনিয়নের মরাগাংকান্দা গ্রামে প্রায় ৭ একর জায়গা জুড়ে খামার প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৩৭ লক্ষ ব্যয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ একর জায়গার উপর ‘দি এম.কে. এগ্রো’ নামে খামার গড়ে তোলেন চাঁদপুর জেলার ১০ শিক্ষিত তরুণ।     

ইতোমধ্যে গড়ে তোলা তাদের খামারটিতে রয়েছে প্রায় ৫০০ টার্কি মুরগির পাশাপাশি ৪টি দুগ্ধ গরু ৮টি উন্নতজাতের ষাড়। এছাড়াও দেশি প্রজাতির মাছ চাষে রয়েছে বিশাল আকৃতির পুকুর। পুকুরের পাড় ঘেঁষে রোপন করা হয়েছে শীতকালীন সবজি। টার্কির সাথে রয়েছে দেশি মুরগির সমাগম। দেশি মুরগী থেকে গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫টি ডিম সংগ্রহ করা হয়। খামারের বেষ্টনী জুড়ে রোপন করা হয়েছে ফলজ ও বনজ গাছের বিভিন্ন প্রজাতির চারা। খামারের অবশিষ্ট অংশে ধানী ফসলের উপযোগী করে ধান আবাদ করা হচ্ছে। খামারের ভেতরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ইনকিউবেটর মেশিন।  

প্রতিদিন এই খামার  থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলার সাধারণ দশণার্থী টার্কি মুরগি ও বাচ্চা ক্রয় করে নিয়ে যান। এছাড়া প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ১ মাস বয়সী বাচ্চা বিক্রি হয় জোড়া ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে খামারে টার্কির মাংস, মাছ ও গাভীর দুধ প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়ে থাকে বলে জানান খামারের সহযোগী উদ্যোক্তা ইকবাল হোসেন।  

খামারটির প্রধান উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পড়ালেখা শেষ করে নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত ৭ একর জায়গার উপর একটি টার্কি মুরগির ফার্ম করার কথা মাথায় আসে। আমাদের এখানে খামারী বিষয়ে প্রশিক্ষিত বেশ ক’জন তরুণ রয়েছে। প্রথমে শখের বসে তৈরি করলেও বিষয়টি ছিল বাণিজ্যিকীকরণ। গত বছর থেকে শুরু করলেও প্রতিমাসে টার্কি মুরগি ও দুধ বিক্রি করে মাসে আমাদের প্রায় ৭০ হাজার টাকা মত আয় করা সম্ভব হচ্ছে।
 
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল আলম জানান, খামারটি বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। এখানে মাছ, হাঁস, মুরগি, গবাদিপশুসহ মিশ্র চাষ করা হয়। এ ধরনের খামার বেশি বেশি তৈরি হলে এলাকায় অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর