মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির পঞ্চম দিন আজ শনিবার। ইতোমধ্যে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের।
পঞ্চম দিন শনিবার সকাল ৮টা থেকে ডুবে যাওয়া মাটি বোঝাই ট্রলারটি চিহ্নিত করার কাজ আবার শুরু হয়েছে। সাইড স্ক্যান সোনারে শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে দু’টি টিম সকালে কাজ শুরু করে। সম্ভাব্য স্থানগুলো স্ক্যান করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ট্রলারের কোন রকম সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবরি দল ছাড়াও কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় গজারিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বেঁচে যাওয়া শ্রমিক শাহ আলম এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ডুবে যাওয়া ট্রলারের চালক মো. হাবিবকে।
এছাড়া ট্রলার মালিক জাকির দেওয়ান এবং অজ্ঞাত তেলের ট্যাঙ্কারের চালককেও আসামি করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বেপরোয়াভাবে নৌযান চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণহানির অপরাধে মামলাটি রুজু হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় গজারিয়ার কালীপুরার কাছে মেঘনা নদীতে ৩৪ শ্রমিকসহ মাটিভর্তি ট্রলাটি তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় ডুবে যায়। সঠিক তথ্যের অভাবে দুর্ঘটনার ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম