ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা এলাকায় ঘরে আগুন দিয়ে দুইজনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দ্বগ্ধ একজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সুরমার স্বামী মো. রফিককে
সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বোরহানউদ্দিনের মো. রফিকের সাথে ৪ মাস আগে লালমোহনের চরভূতা গ্রামের খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই রফিক তার স্ত্রীকে শ্বশুড় বাড়ি রেখে যায়। দীর্ঘদিনেও রফিক তার স্ত্রীর খোঁজখবর এবং ভরন-পোষণ না দেওয়ায় সুরমার বাবা স্থানীয় একটি এনজিও’তে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ওই এনজিও কর্তৃপক্ষ রফিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রফিক শুক্রবার রাতে আগুন দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিসংযোগের পরপরই ঘটনাস্থলে সুরমার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা অপর দুই দ্বগ্ধকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরন করে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তির পরপরই আংকুরার মেয়ে খাদিজার মৃত্যু হয়।
আংকুরার অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এমএ আজাদ সজল।
এদিকে অগ্নিসংযোগ করে ২জন পুড়িয়ে হত্যা এবং একজনকে দ্বগ্ধ করার ঘটনায় মামলা দায়ের সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন লালমোহন থানার ওসি মীর খাইরুল কবির।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন