চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে চাঞ্চল্যকর মৌসুমী হত্যা মামলায় মিজানুর রহমান মিজান (১৯) ও সবুর (১৯) নামে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৯ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মিজানকে শহরের সরকারপাড়া এলাকায় তার নানী বাড়ি থেকে ও সবুরকে গত রবিবার (২০ জানুয়ারী) ভোররাতে রাজশাহী শহরে গুড়িপাড়া এলাকায় তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের রবিবার রাতে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুজ্জামান সরকারের আদালতে তোলা হয়। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন। মিজান শহরের শাহীবাগ সরকারপাড়া এলাকার ইসরাফিলের ছেলে। সবুর শহরের মাঝপাড়া রামকৃষ্টপুর মহল্লার মৃত তাজু ইসলামের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা মৌসুমীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে সৃষ্ট ঘটনার রাগ থেকে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার শহরের মাঝপাড়া এলাকার মুরশাদ আলীর ছেলে অটোরিক্সা চালক ইসরাইল আলীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৭’জানুয়ারী) রাতে তাকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার (১৮’জানুয়ারী) তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এঘটনায় জড়িত আরেকজনকে খুঁজছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারী সকালে শহর কেন্দ্রের অক্ট্রয় মোড় এলাকার একটি আমবাগানের ভেতর একটি নির্মাণাধীন ঘর থেকে মৌসুমী খাতুনের (৩৫) হাত-পা বাঁধা, মুখে পরনের কাপড় গোঁজা অর্ধ বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার হয়। তাকে আগের রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পুলিশ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
এঘটনায় ওই দিনই মৌসুমীর পিতা সদর উপজেলার আতাহার গ্রামের আজিজুর রহমান সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশী তৎপরতায় হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও মূল তিনজন আসামিকে গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
