২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:৩৫

নাটোরে খেয়াঘাটের হালখাতা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে খেয়াঘাটের হালখাতা

ব্যতিক্রমী হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে নাটোরের বড়াইগ্রামের রামাগাড়ি গ্রামের নন্দকুজা নদীর খেয়াঘাটে। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া হালখাতা শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি। আটদিন ধরে চলা এই হালখাতার আয়োজনের কমতি নেই। রীতিমতো মাইকে গান বাজিয়ে, সাজসজ্জা করে এবং মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়নের মাধ্যমে সাড়ম্বরে চলছে গ্রামবাংলার চিরায়িত হালখাতা। তবে এই হালখাতা আয়োজন কোন বিত্তবানের নয়, নয় কোন ব্যবসায়ীর। একজন খেয়া মাঝির হালখাতা। বিত্তবানের বৈভবের জৌলুস নেই। তবে ঠিকই আছে সৌখিন এক মনন। বলা যেতেই পারে- এ যেন কুঁড়ে ঘরে থেকে বাবুই পাখির শিল্পের বড়াই।

উপজেলা প্রশাসন থেকে বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘাট লিজ নেওয়া মাঝি অজিত কুমার এ হালখাতার আয়োজন করেছেন। বৈচিত্র্যময় এ আয়োজন স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে দারুণ কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।

জানা যায়, অজিত কুমার মাঝি বংশ পরম্পরায় খেয়া ঘাটের মাঝি । কালের আবর্তে নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় খেয়া নৌকা থাকলেও কয়েক বছর ধরে স্থানীয় অজিত মাঝি নদীতে চারফুট চওড়া ও প্রায় আড়াই ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। নৌকার পরিবর্তে এ সাঁকোয় পারাপারে কেউ নগদ টাকা  দেন, কেউ বকেয়া রাখেন। বকেয়া আদায়ে হালখাতার আয়োজন।

অজিত কুমার মাঝি জানান, বনপাড়া, রামাগাড়ী, দয়ারামপুর, বিদ্যুৎনগর, চন্দ্রখইড়, বাটিকামাড়ি, দরাপপুর, সাতসৈল, চাঁদপুর ও সোনাপুর হাটসহ  আশেপাশের হাটগুলো সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে বসে। একেক এলাকার লোক একেক হাটে যায়, তাই তাদের সুবিধার জন্য বেশি সময় ধরে হালখাতা করতে হচ্ছে। এতে তার খরচ বেশি হলেও সবার সুবিধার্থে এমনটি করতে হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর