২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:৪৯

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মেহেদী জামিলের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। বুধবার রাত ১০ টার দিকে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে বুধবার রাতে শতাধিক দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেহেদী জামিলের বাড়িসহ চারটি বাড়িতে একযোগে হামলা করে। এ সময় তারা মেহেদী জামিল, স্থানীয় আব্দুর রব হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার ও নাইম ফকিরের ঘরের ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। 

মেহেদী জামিলের ভাবী পারুল বেগম বলেন, রাত ১০ টার দিকে হঠাৎ করে বাড়ির নিকটে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এর পরপরই শতাধিক লোকজন বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। ভয়ে আমরা একটি কক্ষের দরজা আটকে লুকিয়ে থাকি। আমার দেবর মেহেদী জামিল সাবেক এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের সমর্থক। এবার মোজাম্মেল হক মনোনয়ন পায়নি, মনোনয়ন পেয়েছে ইকবাল হোসেন অপু। এরপর থেকে আমাদের স্বামী-সন্তানরা হাটে বাজারে যেতে পারেনা, মেয়ে কলেজে যেতে পারে না। আওয়ামী লীগের লোক হয়েও আমরা এক ধরনের অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছি।

মেহেদী জামিলের ভাই রহমান হাওলাদার বলেন, হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং নগদ ২০ হাজার টাকা, ১টি স্বর্ণের চেইন ও ২ টি স্বর্ণের রুলী নিয়ে গেছে। নির্বাচনের পর থেকে আমি আর বাজারে যেতে পারছিনা। আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এখন তো বাড়িতেও থাকার উপায় নেই।

আব্দুর রব হাওলাদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম বলেন, একই সাথে তিন বাড়িতে আক্রমণ করেছে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি লোকজন এসে ঘরের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে। এরপর তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে।

ইদ্রিস হাওলাদারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের ওপর ধারাবাহিক হামলা হচ্ছে। এর আগে লিটন, সেতু ও জব্বার হাওলাদারকে মারধর করেছে। ভয়ে আমাদের বাড়ির পুরুষ সদস্যরা সব ঢাকা চলে গেছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বাস করছি।

এ বিষয়ে মেহেদী জামিল বলেন, আমার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর