মাত্র দশ টাকার লোভ দেখিয়ে এবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নে অবস্থিত একটি এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই এতিমখানার ভাইস চেয়ারম্যান ও মধুপুর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।  

মঙ্গলবার বিকালে এতিমখানার একাধিক শিশুকে ধর্ষণ ও অভিযুক্ত শিক্ষককের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) একেএম আজমল হুদা।

মামলার বাদী মো: ফারুক আহম্মেদ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এতিমখানার শিশু শিক্ষার্থীদেরকে অর্থের লোভ দেখিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করতো। বিষয়টি একাধিক শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা দায়ের করেছি। সর্বশেষ অভিযুক্ত শিক্ষক চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দশ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানান, ঐ এতিমখানার ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়ার সুবাদে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর (১০) সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন সময়ে ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করতে থাকে। শুধু তাই নয় আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে সকলের অগোচরে ঐ শিক্ষক এতিমখানার মেয়েদের গোসল খানায় নিয়ে গিয়ে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করতো। মেয়েটিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত মেয়েটিকে ধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে স্বীকারও করেছে রেজাউল ইসলাম বলে ওসি জানান।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল