১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৫০
তিনদিনের ছুটি, প্রস্তুতি সম্পন্ন

রাঙামাটিতে নামতে চলেছে পর্যটকের ঢল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে নামতে চলেছে পর্যটকের ঢল

ফাইল ছবি

শীত শেষ, কিন্তু কাটেনি উষ্ণতা। যোগ হয়েছে হঠাৎ বৃষ্টি। মেঘ শূণ্য আকাশে বৃষ্টির হাতছানিতে পাহাড় যেন ফিরেছে আপন রূপ। শুকনো পাতার আড়মোড়া ভেঙ্গে বসন্তে বন-জঙ্গলে ফিরে এসেছে যৌবন। গাছে গাছে ফুটেছে হাজারো নাম নাজানা পাহাড়ি ফুল। হ্রদ-পাহাড়ে বৈচিত্র্যতার টানে দুর-দূরান্ত থেকে এবার আসবে হাজারো পর্যটক। তাই স্থানীয় হোটেল, মোটেল ও রেস্ট হাউজগুলোতে দিয়েছে অগ্রিম বুকিংও। খালি নেই কোনো হোটেল- মোটেল।

রাঙামাাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলছেন, ২১ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে এ মাসে রয়েছে টানা তিনদিনের ছুটি। আর এ ছুটিকে কাজে লাগাতে রাঙামাটি আসতে প্রস্তুত অনেক পর্যটক। ইটপাথরের শহরে ক্লান্তি দূর করে একান্ত কিছু সময় কাটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসবে অনেকেই। তাই তাদের বরণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, স্থানীয় হোটেল, মোটেল, সরকারি-বেসরকারি রেস্টহাউসগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বুকিংয়ের পরিসংখ্যনে মনে হচ্ছে এবার অর্ধলাখেরও বেশি পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে রাঙামাটিতে। প্রস্তুত করা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলোও। ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমবে অগণিত মানুষের। কেবল রাঙামাটি সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সে অর্ধমাস পর্যন্ত অবস্থান করবেন অনেক পর্যটক। তাদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটক বাড়লে, বাড়ে রাজস্ব আয়। লাভবান হয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে এবার রাঙামাটিতে পর্যটকের ধুম পড়বে।

রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্সের বানিজিক্য কর্মকর্তা সূর্য্য সেন ত্রিপুরা জানান, রাঙামাটির সুবলং ঝর্ণা, পর্যটন কমপ্লেক্স, আসামবস্তি সড়ক, প্যাদা টিং টিং, বরগ্যাং ও ফুরামন পাহাড়।  এছাড়া রয়েছে রাঙামাটি জেলাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় উপভোগ্য স্থানও। যেমন- সুখী নীলগঞ্জ মিনি চিড়িয়াখানা, ডিসি বাংলো, পালওয়েল পার্ক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঐতিহ্য সংরক্ষিত যাদুঘর, কাপ্তাই হ্রদ ও সুভলং ঝর্ণা এখানে উল্লেখযোগ্য। এসবন পর্যটন কেন্দ্রেই পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে বেশি। তাই আশা করা যাচ্ছে এবার ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটন আসবে রাঙামাটিতে। 

রাঙামাটি পর্যটনের আওয়তায় টুরিষ্ট্য পুলিশ ব্যবস্থাপক মো. কামাল উদ্দিন জানান, রাঙামাটিতে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঝুলন্ত ব্রীজে সব সময় পুলিশের টহল থাকে। এছাড়া দূর্গম এলাকাগুলোতেও পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা নড়জদারী করা হয়েছে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর