যে কারও জন্য মায়ের ভাষায় পাঠ্য বিষয় শেখাটা সহজ। কিন্তু দিনাজপুরের হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলার সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর শিশুরা নিজ ভাষায় পড়ার সুযোগ পায় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব শিশুর জন্য নিজ ভাষার পাঠ্যপুস্তক কিংবা শিক্ষকও নেই। এতে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিদ্যালয়গামী শিশুদের বেশিরভাগই বাংলা ভাষায় পড়া আয়ত্ত করতে পারে না এবং প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অনেকে ঝরে যায়। এ কারণে তারা নিজ ভাষায় পড়ার সুযোগ চায়।
তাদের দাবি, সন্তানদের ঝরে পড়া রোধে এবং নিজ নিজ ভাষা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও শিক্ষক নিয়োগ
জরুরি। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারিভাবে বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অধ্যুষিত। এখানে উরাও, সাঁওতাল, মাহালি, মাহাতো, মুচি সম্প্রদায়সহ ৬-৭টি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।
নবাবগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার ওহেদুজ্জামান সরকার ও আব্দুল ওয়াকিল জানান, স্কুলগুলোতে ওই ভাষার শিক্ষক নেই এবং আদিবাসী শিশুদের জন্য নিজ ভাষার পাঠ্যপুস্তক নেই। নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার আদিবাসী শিশু-৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন