শিরোনাম
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:০১

১৪০ কেজি ওজনের মেটে আলু!

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট:

১৪০ কেজি ওজনের মেটে আলু!

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা গ্রামের মেটে আলু চাষে অর্ধশতাধিক চাষি সফলতা পেয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ আর হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে জমিতে চাষ করে এক-একটি মেটে আলুর ওজন ১ শত থেকে ১৪০ কেজি হয়েছে। 

ইতিমধ্যে এই এলাকার উৎপাদিত মেটে আলু ঢাকায় জাতীয় কৃষি মেলায় ‘দেশ সেরা’ নির্বাচিত হয়েছে। 

ফকিরহাট উপজেলা বেতাগা গ্রামের কৃষক প্রকাশ চন্দ্র দাশ গত তিন বছর আগে মেটেআলুর চাষ শুরু করেন। তার এই চাষকরা আলুর মধ্যে একটি মেঠেআলুর ওজন হয়েছে ১ শত ৪০ কেজি। 

ফকিরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ পর্যন্ত উৎপাদিত একক মেটে আলু হিসেবে যা বিরল ও সর্ববৃহৎ এলাকায় কৃষক প্রকাশ চন্দ্র দাশের সাফল্য দেখে অন্য কৃষকরাও অধিক লাভজনক মেটে আলুর চায় শুরু করেছেন। 

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার ও পাচিং পদ্ধতির প্রর্বতক মো. নাছরুল মিল্লাত জানান, মেটে আলুর চাষ করতে গেলে প্রথমে ৩ ফুট চওড়া ও ৪ ফুট আড়ে এবং আড়াই ফুট গভীর করে একটি বড় গর্ত তৈরি করতে হবে। তারপর তাতে পযাপ্ত পরিমাণে ছাঁই এবং ১ কেজি পটাশ, ১ কেজি ইউরিয়া ও ২ কেজি টিএসপি সার দিয়ে গর্তটি মাটি দিয়ে ভরাট করে ১ মাস ফেলে রাখতে হবে। এক মাস পর ওই গর্তে ১টি মেটে আলুর বীজ পুতে দিতে হবে। বীজ থেকে চারা গজালে সেই গাছটি অন্য কোন গাছে উঠিয়ে দিতে হবে। গাছটির বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাতে পরিমাণ মত মাটি ও কিছু জৈব সার দিয়ে গর্তের চতুর পাশ্বে কিছু আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। গত বছর যে সমস্ত কৃষক নিয়মানুযায়ী মেটে আলুর চাষ করেছিলেন, তাদের মেটেআলু মাত্র ১ বছরে ১ শত থেকে ১৪০ কেজি ওজন হয়েছে। 

মানুষের শরীরের পুষ্টিহীনতা দূর করতে ও সবজির ঘাটতি মেটাতে পরিত্যাক্ত জমিতে সঠিক ব্যবহার করতে বীষমুক্ত সবজি পেতে ও কৃষকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে এই সবজিটি বিশেষ অবদান রাখছে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর