পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি সংষ্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভানাময় স্থানগুলো উন্নয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
শনিবার দুপুরে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল টেকসই ও দায়িত্বশীল পর্যটন উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে রয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। তাদের যেমন নিজস্ব ভাষা রয়েছে, তেমনি রয়েছে নিজেদের সংষ্কৃতিও। একই সাথে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে রয়েছে অপার সম্ভাবনাময় প্রকৃতিক রূপবৈচিত্র্য। যার টানে প্রতিবছর এখানে আসে দূর-দুরান্ত থেকে দেশি-বিদেশী হাজারও পর্যটক। কিন্তু কালের বিবর্তনে পার্বত্যাঞ্চলের অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংষ্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই পার্বত্যাঞ্চল মুখি পর্যটকরা এখানে আসতে আগ্রহ হারাচ্ছে। কারণ তারা আগেরমত সেই আনন্দটা পাচ্ছেনা। তাই পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনধারার সাথে মিল রেখে উন্নত করতে হবে।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ভারপাপ্ত সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধূরী, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান কবির প্রমুখ।
সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে অবকাঠামোগত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চার দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতি বৈচিত্র্য ও পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা থাকলেও উপযুক্ত উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাবে এ শিল্প উন্নত হচ্ছে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল টেকসই ও দায়িত্বশীল পর্যটন উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে এ সেমিনারে মাধ্যমে পর্যটন বিকাশের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরনের উপায় বের করা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর
