১৮ মার্চ, ২০১৯ ১৫:১৬

লামায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে সুনসান নিরবতা!

ভোটারের অপেক্ষায় পোলিং অফিসাররা

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

লামায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে সুনসান নিরবতা!

সোমবার সকাল ১১টা। তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে চলছে বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। দরদরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ছিল একেবারেই ফাঁকা। এই ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২৪২১জন। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক বাবু অংথিং জানান, এ সেন্টারে ভোট শুরুর ৩ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৫ শতাংশ।

এ কেন্দ্রে নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বলছিলেন, ভোটার বাড়িতে, মানুষ ভোটে আসতে চায় না, আমরা কী করব? এখানে কোনো ভোটার নেই, পুরো ভোট কেন্দ্র খালি। মাঝে মধ্যে ১-২ জন ভোটার আসছেন। তাই আমরা গাছের ছায়ায় বসে আছি।

একই চিত্র দেখা গেছে উপজেলার মধুঝিরি, ছাগলখাইয়া, মংপ্রু পাড়া, বোচা পাড়া, লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ইয়াংছা অংহা পাড়া ও গজালিয়া হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে। প্রায় সবকয়টি কেন্দ্র ফাঁকা। কয়েকজন থাকলেও তারা একেকজন অসংখ্য ভোট দিয়েছে বলে নিজেরা নিজেদের বলছিল। এমনও বলতে শোনা গেছে ভোটার না আসলেও ভোট কাস্ট হয়ে যাবে!

বলতে গেলে প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম। অনেকটা ফাঁকা মাঠেই চলছে ভোটের কার্যক্রম। তবে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, কোন সাংবাদিক কেন্দ্রে গেলেই কিছু লোকজন এসে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক চলে গেলে তারা সরে যাচ্ছে। তবে ভোট গ্রহণের পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।

প্রায় ১৫/২০টি মোটরসাইকেলে সাংবাদিকদের গাড়ির স্টিকার লাগিয়ে সরকারদলীয় লোকজন দাপটের সাথে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নববিন্দু নায়ায়ণ চাকমা বলেন, লামার সাংবাদিকদের জন্য মোট ১৪টি গাড়ির স্টিকার আমরা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে পেয়েছি। সরকারদলীয় লোকজন এই স্টিকার কোথায় পেল আমি জানি না।

প্রসঙ্গত, লামা উপজেলায় এবার মোট ৬৭ হাজার ২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩২ হাজার ৫০৯ জন ও পুরুষ ভোটার ৩৪ হাজার ৫১৯ জন। নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে আছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপি সদস্যরা।

লামায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে মোট ৪০টি কেন্দ্রে ১৭৯ টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এছাড়া নির্বাচনী মাঠে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. মোস্তফা জামাল ও মো. আলমগীর। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. জাহেদ উদ্দিন, দিদারুল ইসলাম ও নুরুচ্ছফা ইসলাম। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিলকী রাণী দাশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর