দ্বিতীয় ধাপে রংপুরের চার উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও একটিতে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। এর আগে গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়ায় চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রির্টানিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের আনিছুর রহমান লিটন ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নেতা শাহিনুর রহমান মার্শাল পান ১৮ হাজার ৯২২ ভোট। এখানে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম ছাইদেল কাউনাইন বায়েজীদ বোস্তামী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবিনা ইয়াছমিন নির্বাচিত হয়েছেন।পীরগাছা উপজেলায় জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে আবু নাসের শাহ মাহবুবার রহমান ৫৫ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আলম মাহমুদ মিলন পান ৪১০৪৬ ভোট। এখানে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরিফুল হক লিটন নির্বাচিত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তানজিলা বেগম নির্বাচিত হন।
পীরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মন্ডল ৭১ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর। তিনি ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ২৭ হাজার ৬৯ ভোট পান। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল ইসলাম মন্ডল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন আরা রীনা নির্বাচিত হয়েছেন।
বদরগঞ্জে আওয়ামীলীগের ফজলে রাব্বী সুইট নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫৮ হাজার ৩৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা সাইদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৮০০ ভোট পান। কাউনিয়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রাজ্জাক ও গঙ্গাচড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাজু আহম্মেদ লাল নির্বাচিত হয়েছে। এর আগে কাউনিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
হন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন