নলছিটিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার দুপুরে নাচনমহল গ্রামের সাইদুল ইসলাম তালুকদার ওরফে কানবালা সাইদুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে সাথে মোল্লারহাট ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সাইদুল নাচনমহল ইউনিয়নের নাচনমহল গ্রামের কৃষক আজিজ তালুকদারের ছেলে। ঘটনার সময় সাইদুলের সাথে থাকা তার ভাগ্নে মো. রুম্মান (২২) কে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ২ টার দিকে সাইদুল মোটরসাইকেল চালিয়ে তার ভাগ্নে রুম্মানকে নিয়ে নাচনমহল বাজারের দিক যাচ্ছিল। বাজারের ব্রীজ পার হওয়ার সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যান কবিরের সমর্থিত লোকজন সাইদুলের গতিরোধ করে। সে থামার সাথে সাথে রামদা ও কুড়াল দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে সাইদুল ও তার ভাগ্নেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারিরা। এতে ঘটনাস্থলেই সাইদুল মারা গেলে গুরুতর আহত অবস্থায় তার ভাগ্নে রুম্মানকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে মোল্লারহাট কামদেবপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র সজল হাওলাদাকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। ঐ ঘটনায় সাইদুল গ্রেফতার হয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সজল হত্যার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ছিল। এরই জের ধরে এবং সাইদুল এলাকায় চেয়ারম্যান বিরোধী গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসায় গতকাল তাকে হত্যা করানো হতে পারে বলে এলাকাবাসির ধারণা।
এলাকাবাসির অভিযোগ রেন্ট মটরসাইকেল চালক সাইদুলও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্র সজল হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সবশেষ সাইদুল তার ভগ্নিপতি সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিল।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমি নলছিটি থানায় যোগদানের আগে সাইদুলের নামে কোন মামলা আছে কিনা তা এই মূহুর্তে বলতে পারছিনা। ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সাথে সাইদুলের পূর্ব কোন ঘটনার জের আছে কিনা তাও জানিনা। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর