আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নির্বিঘ্নে ফেরি পারাপার, লঞ্চসহ অনান্য জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল, ঘাটের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাজবাড়ীতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয় সভা থেকে জানা গেছে, আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জরুরি পণ্য ও সেবা ব্যতীত সকল পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন ফেরিপারাপার বন্ধ থাকবে। এছাড়া ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক থেকে ফেরির পল্টুন পর্যন্ত কোন ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও রিক্সা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

সভায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সব ধরনের পরিবহন থেকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। এর সাথে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা জড়িত। কিভাবে চাঁদাবাজি করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি পারাপারে বাধ্য করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়।
বিশেষ করে মাঝারি ধরনের ট্রাকের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। আনসার সদস্যদের মাধ্যমে সেই ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। প্রতিদিন যানবাহন থেকে লাখ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। মাসিক হিসাবে যার অংক দাঁড়ায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।

বিডি প্রতিদিন/এএ