৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৩১

সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবক গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবক গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামে তমা আক্তার (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার নিজ বসতঘরের চৌকাঠের সাথে হাঁটু ভাজ করা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো ওই তরুণীর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন স্বজনরা৷ 

তমা পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তিনি দোয়ারাবাজার কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে ও স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে এটি একটি খুনের ঘটনা বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের চেঙ্গাইয়া দশনলী এলাকা থেকে অভিযুক্ত লিটন আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তরুণীর ‘আত্মহত্যার’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তার পিতাসহ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসারদের অবহিত করেন কর্তব্যরত কর্মকর্তা। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসারগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা ফরিদ আহমদ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

এদিকে মামলা রুজুর পর  তদন্তকারী অফিসার এসআই মোহাম্মদ আবুল বাশারসহ থানাপুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি শনাক্ত করাসহ গ্রেফতারে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে মো. লিটন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি লিটন তমা আক্তারকে (১৮) ধর্ষণপূর্বক হত্যার কথা স্বীকার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস জানান, লিটন স্বীকার করেছেন তমাকে তিনি খুন করেছেন। তিনি দাবি করেন, তমার সঙ্গে তার প্রেম ছিল। পরিবার তমাকে তার কাছে বিয়ে না দেওয়ায় তিনি অন্যত্র বিয়ে করেছেন। তার দুই মাসের একটি শিশু সন্তান আছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, তমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সোমবার সন্ধ্যার পর তমার সাথে দেখা করতে গেলে তমা তাকে জুতা দিয়ে আঘাত করে। এতে উত্তেজিত হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ওড়না দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। 

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বেলা ২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্ ঘটনার বিষয় বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর