২১ মে, ২০২৪ ২১:৪৯

নানা অনিয়মের অভিযোগে চাটখিলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নানা অনিয়মের অভিযোগে চাটখিলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম আজাদ খান। 

অপরদিকে, চাটখিল উপজেলার চেয়ারম্যান পদের অপর প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় দেখে ও জনশূন্য হয়ে পড়ায় আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন একপ্রার্থী। এলাকায় তার কোনো জনপ্রিয়তা নাই বলে জানান তিনি। 

তিনি বলেন, আমি এবার ছাড়াও গত দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য সে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। 

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জেড এম আজাদ খান।

জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিট শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরপরই উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক বের করে দেন দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন। একই সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করা হয় এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকের লোকজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আগেই ব্যালট পেপারের সিল মেরে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তিনি এই পাঁতানো নির্বাচন বাতিল দাবি করেন।

এ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনঃনির্বাচন দাবি করে।  

প্রার্থীর অভিযোগ এবং ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম আরা বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর