পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের আমিসের চাহিদা মিটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। দেশের বৃহত্তর মিটা পানির হ্রদ হচ্ছে এটি। যেখানে পাওয়া যায় প্রায় ৭০টি প্রজাতির বেশি মিটা পানির মাছ। শুধু তাই নয়, এ হ্রদ ঘিরে রাঙামাটি সাড়ে ২৬ হাজার মৎস্যজীবীদের চলে জীবন ও জীবিকা। তাই পার্বত্যাঞ্চলে মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধূরী।
বুধবার দুপুর ১২টায় রাঙামাটি জেলা পরিষদ এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধূরী।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. রেজাউল করিম, রাঙামাটি অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোতাছেম বিল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহানাওয়াজ রাজু, রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল আল হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মো. এরশাদ বিন শহীদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির সূচনার লক্ষ্যে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে কাপ্তাই হ্রদে প্রতিকি মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া রাঙামাটি শহরের হ্যাপীর মোড় এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ