বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় পুলিশের এসআই মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পরপরই এসআই মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মিথুন সরকার বগুড়ার শেরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলা সদরের বয়ড়া পালপাড়া গ্রামে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এক বছর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি কর্মরত আছেন।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতের আইনজীবী আশেকুর রহমান সুজন জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল নিশ্চিত করতে আদালত থেকে গতকাল বুধবার বগুড়ার পুলিশ সুপার এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির নিকট আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বগুড়ার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন মন্ডলের দাখিল করা প্রতিবেদন এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীর দাখিল করা কথপোকথনের রেকর্ড পর্যালোচনা করে, পরে আসামি মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। গত বছর জুন মাসে বগুড়ার শেরপুর থানায় কর্মরত থাকাকালে এসআই মিথুন সরকারের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরে ধর্ম পরিচয় গোপন করে এসআই মিথুন সরকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলেন। গত বছরের ৩ জুন মেয়েটির জন্মদিনে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে শেরপুর শহরের খোন্দকারটোলা এলাকার চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ী এবং পুলিশের সোর্সের ভাড়া বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের শিকার তরুণী বিষয়টি পরিবারে ফাঁস করে দিলে এসআই মিথুন বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই ছাত্রী গত বছরের ১৭ আগস্ট বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে এসআই মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বগুড়া পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, সাময়িক বরখাস্ত থাকা এসআই মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারি সংক্রান্ত আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদালতের আদেশ পাওয়া মাত্র আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত