বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট সরকারপাড়া গ্রামে শান্তনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী হাতেম আলী (৩২)। নিহত শান্তনা বেগম ওই উপজেলার লোহাজাল গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, হাতেম আলী তার এলাকার বেশ কিছু ব্যক্তির কাছে ঋণগ্রস্ত ছিলেন। গত বুধবার (৩১ জুলাই) পাবনা থেকে বাড়িতে আসেন তিনি। রাতে ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোরে হাতেম আলী তার স্ত্রীকে প্রথমে গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করেন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে স্ত্রী শান্তনাকে হত্যা করেন হাতেম আলী।
নিহত শান্তনা বেগমের মা বলেন, শান্তনা তার একমাত্র সন্তান। শান্তনাকে ছোটবেলায় বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকতো। হাতেম আলী প্রতিনিয়ত ধারদেনা করে চলতো। ধার দেনা করার কারণে সে প্রায়ই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত। এবার নিয়ে তিনবার হাতেম আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শান্তনা হাতেম আলীকে বলেন, তুমি আর বাড়িতে এসো না। আমি দুটি সন্তানকে নিয়েই থাকবো। সেই কথা শুনে হাতেম আলী কাহালুতে চলে আসেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর হাতেম আলী নিজেই থানায় এসে বিষয়টি জানান। তখন আমরা তাকে আটক করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনা নিহত শান্তনার বাবা সাহেব আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটক হাতেম আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন