বগুড়ার বাজারে সরবরাহ থাকলেও কমেনি কোনো সবজির দাম। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও হাট-বাজারে আগের মত থমথমে পরিস্থিতির বিরাজ করছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়লেও কমছে দাম।
গতকাল শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী ও খান্দার বাজারসহ শহরের বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, আলু প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৭০টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ও ঝিংগা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসনু ২৪০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, চিচিংগা ৫০ টাকা, শশা ও পেঁপেঁ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজারে আগের দামেই বেচাকেনা হতে দেখা যায়। বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, রঞ্জিত ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, কাটারিভোগ ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, মিনিকেট ৭০ এবং নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ব্রয়লার মুরগির আগের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থকে ১৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ককরেল মুরগি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। দেশি মুরগি ৫০০টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাজারে রুই মাছ রুই প্রতিকেজি ২৫০ টাকা ও কাতল মাছ একই দামে বেচাকেনা হচ্ছে। এছাড়াও পাবদা মাছ কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং শিং ও মাগুর মাছ ৩০০ থকে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে ইলিশ মাছের কেজি ৭০০ থেকে ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা যায়। এদিকে গরুর মাংসের কেজি ৭২০ থকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
রাজাবাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মতিন জানান, বাজারে সবজি সরবরাহ থাকলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে দুই এক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
বাজার করতে আসা দিনমজুর রুহুল আমিন জানান, সবকিছুর দাম বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে একটা সবজিও ৪০ টাকার মধ্যে নেই। সব সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম না কমার পেছনে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেটই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন, অধিক লাভের আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই দাম বাড়িয়েছে এই সিন্ডিকেটরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল