২৪ ঘণ্টার রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবেছে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ী। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই টানা বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে শহররের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষষ।
জানা জায়, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন সড়কের পাশে গণপূর্তের সরকারি জায়গায় গড়ে উঠছে অবৈধ দোকানপাট, দখল হয়ে গেছে সরকারি সম্পত্তি। এই অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ছোট ছোট শাখা খাল সংস্কার করলে এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে পৌরবাসী। তারা জেলাপ্রশাসন, নোয়াখালী পৌরসভাও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের বিশেষ নজর দেওয়ার দাবি করছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীতে ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি গত ২০ বছরের মধ্যে নোয়াখালীতে একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী নোয়াখালীতে আরও ২-১ দিন হালকা বৃষ্টি হোতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কম।
স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াদ ও আনন্দ বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অতিভারি বৃষ্টিতে রীতিমতো ভেসে গেছে মাইজদী শহর। ডিসি অফিস, এসপি অফিস, জজ কোর্টের সামনের সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া মাইজদীর প্রধান সড়কের টাউন হলের মোড়, জামে মসজিদের মোড়ে পানি উঠেছে। বিভিন্ন বাড়িতে পানি উঠে বাড়ির আঙিনা ডুবে আছে হাঁটু পানিতে, অনেকের ঘরে পানি ঢুকেছে। এ বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। সড়কের আশপাশের বাসাবাড়ির আঙিনায় এখনো বৃষ্টির পানি জমে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট কাজী কবির জানান, আলফারুক স্কুল সড়ক, অফিস থেকে হাসপাতাল,ল-ইয়ার্স কলোনীসহ অলিগলি সব জায়গায় পানিতে ডুবু ডুবু অবস্থা। যদিও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অফিসমুখী মানুষের ভিড় ছিল না। কিন্তু স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরম।
নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্লাহ খান সোহেল জানান, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও দখলকৃত খালগুলো সংস্কার করা হবে এবং খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল